• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

নওগাঁয় ধানের ভালো ফলন, দাম কম নিয়ে দুশ্চিন্তায়  কৃষক

  • ''
  • প্রকাশিত ০৭ মে ২০২৪

নওগাঁ প্রতিনিধি:

শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁ  জেলায় চলতি বোরো ও ইরি মৌসুমের ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত  চাষিরা। গেল বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারগুলোয় মিলছে না চাষির কাঙ্ক্ষিত দাম। ধান নিয়ে বাজার থেকে ফিরে চাষিদের মুখে নেই হাসি। জেলার ছাতড়া ধানের হাটে কথা হয় কৃষক আল মামুনের সঙ্গে। ধান বিক্রি করতে এসে তিনি  বলেন, বর্তমানে হাটগুলোয় প্রতি মণ জিরা জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়।আর ৯০ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে গড়ে এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। তবে এই দামে আমাদের পোষাবে না।

এখন সর্বনিম্ন জিরা জাতের ধান এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা মণ বিক্রি করতে হবে। তাহলে কৃষকের কিছু টাকা লাভ হবে। তাছাড়া এই দামে ধান বিক্রি করে লাভ হওয়া সম্ভব না। এই দামে যদি আমাদের ধান বিক্রি করতে হয়, তাহলে লাভের জায়গায় আমাদের লোকসান গুনতে হবে।  

নিয়ামতপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার কৃষক কামরুজ্জামান বলেন, ধান চাষের শুরু থেকে প্রথমে বাড়লো বিদ্যুতের দাম, ফলে সেচ খরচ বেড়েছে। এরপর বাড়লো সব ধরনের সারের দাম। এ বছর ধানের পোকা মারতে দফায় দফায় ব্যবহার করা হয়েছে কীটনাশক। আবার শেষ সময় ঘরে ধান তোলার জন্য বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে শ্রমিকদের। সব মিলে বিঘা প্রতি আমাদের খরচে হয়েছে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা। বিপরীতে ধান পেয়েছি ১৮ থেকে ১৯ মণ।

তিনি আরও বলেন, গেলো বছর এক বিঘা ধান কাটাতে শ্রমিকদের দিতে হয়েছে তিন হাজার। কিন্তু এ বছর শ্রমিকদের দিতে হয়েছে চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। এতো কষ্ট করে ফসল, বাজারে নিয়ে গেলে মন খারাপ হয়ে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ  জানান, এ বছর জেলার প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯ 'শ হেক্টর জমিতে বোরো ও ইরি চাষ হয়েছে।  আরও বলেন, কৃষক যাতে করে ধানের ন্যায্যমূল্য পান এ বিষয়ে সরকার কাজ করছে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads